নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা জয়বাংলা স্লোগান দিয়েছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের এমন ভাবে ফিরে আসায় জেলা জুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ট্রাক শ্রমিক মো.খোকন হত্যা মামলায় আদালতে শুনানির জন্য নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় আদলত প্রাঙ্গণে আওয়ামীলীগের ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মি সববেত হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে সাবেক এমপি একরামুলকে কারাগারে নেওয়ার সময় নেতাকর্মিরা সাবেক এমপি একরামের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই সময় নেতাকর্মিরা ‘একরাম ভাই ভয় নাই রাজ পথে ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই রাজ পথ ছাড়ি নাই’, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের আইনজীবী ফোরামের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত ছিল, তারা ভুল করেছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক কোর্টে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। এমপি একরামের রিমান্ডের আবেদনের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তখন আমি স্কটে সামনে ছিলাম। পিছনে কি হয়েছে বলতে পারিনা।
উলেখ্য, সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১ নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন সাবেক এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে ট্রাক শ্রমিক মো.খোকন নিহতের ঘটনায় দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক এমপি একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহত ট্রাক শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি করেন।