ঢাকাবুধবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. Uncategorized
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. প্রবাসের খবর
  12. বিনোদন
  13. মিডিয়া
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

নোয়াখালীতে চুরির পর গৃহবধূকে ধ-র্ষ-ণে-র পর হ-ত্যা, ২জন গ্রেফতার।

Link Copied!

Spread the love
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: 
নোয়াখালীতে চুরির পর এক গৃহবধূ কে (৩৫) ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় দুই চোর কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ সময় পুলিশ চোরাইকৃত এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা, এক জোড়া রুপার পায়ের নুপুর ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর নলুয়া গ্রামের মো. জাকের হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও একই গ্রামের মো. নুরউদ্দিন ওরফে বিটুর ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন শান্ত (২৫)।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, দুই আসামি দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ভিকটিমের স্বামী (৩৫) কবিরহাট উপজেলার রামেরশ্বরপুর গ্রামের একটি নার্সারিতে চাকরি করেন। সেই সুবাধে তিনি সেখানেই বসবাস করতেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর নিহত ভিকটিম রাতে বাড়িতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বসত ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে।
দুই আসামি পেশায় রিকশা চালক এবং তারা পরস্পর বন্ধু ছিল।
আসামি নিজাম উদ্দিন শান্ত এর বাড়ি এবং ভিকটিম নাজমুন নাহারের বাড়ির কাছাকাছি। নিহত ভিকটিম বিষয়টি টের পেলে তারা হত্যার ভয় দেখিয়ে ভিকটিম কে কাবু করে এবং ঘরের ভিতরে তল্লাশী করে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, একটি নাকের ফুল এবং রুপার এক জোড়া পায়ের নুপুর কেড়ে নেয়।
একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ভিকটিম কে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করে এবং আসামি শান্ত ভিকটিমের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিম তাদরকে চিনে ফেলায় আসামিরা ভিকটিমের হাত-পা বেধে গলায় চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ওসি আরো বলেন, পরের দিন সকাল ৭ টার সময় স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় ভিকটিম কে উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অস্থায় ভিকটিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
মামলাটি গত ৩০ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তের জন্য হস্তান্তর হওয়ার পর (ডিবি) টিম চাঞ্চল্যকর রহস্য জনক হত্যার বিষয় টি উদঘাটনে মাঠে নামেন।
গত সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামিদের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী এবয় কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নোয়াখালী মিডিয়া/নিউজ