নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে কোদালের ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত মো.নুরুল হক বাবুল (৬০) উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের লেদির বাড়ের বাড়ির মৃত আনোয়ার উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মিরওয়ারিশ পুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে নুরুল আমিন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ বছর আমাদের বাড়ির সামনের ৩৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী মু্ন্নার সাথে আমাদের বিরোধ ছিলো। কিছু দিন আগে সামাজিক ভাবে সালিশি বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়। ওই সালিশে ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমাদেরকে ১০ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয়। বাকী ২৩ শতাংশ জায়গা মুন্নাকে দেওয়া হয়। এখন মুন্না বলে তিনি সালিশি বৈঠকের সিন্ধান্ত মানেন না।
এরপর শুক্রবার বিকেলে মুন্না আমাদের বাড়ীর সামনের অংশের জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। খবর পেয়ে আমার বাবা আর আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাকে আটকে রেখে মুন্না,রাব্বি,রনি,নজরুল,জাহাঙ্গীর,নুরুল হুদা আমার বাবার সাথে হাতাহাতি শুরু করে।
একপর্যায়ে কোদালের (ডান্ডা/লাঠি) দিয়ে বাবার কাঁধে আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌমুহনী প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) কাজী জাকারিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বেগমঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিটন দেওয়ান বলেন,মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।