নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর)আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস। তিনি বলেন, একরামুল করিম সহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
২০১৩ সালে শ্রমিক দলের কর্মী মো.খোকনকে (২৫)গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী নিহত খোকনের বাবা মফিজুল হক। আসামিরা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
একরাম চৌধুরীকে আটকের সময় জব্দকৃত ব্যক্তিগত মালামাল সমুহ :বাংলাদেশী ১০০০ টাকার নোট ১০০টি ১০০০×১০০ =১০০,০০০ (১ লক্ষ) টাকা টাকা। বাংলাদেশী ৫০০ টাকার নোট ১৮ বান্ডেল প্রতি বান্ডেলে ৫০,০০০ হাজার টাকা করে ৫০০০০×১৮= ৯,০০০০০ (নয় লক্ষ ) টাকা। সর্বমোট বাংলাদেশী টাকা ১০,০০০০ ( দশ লক্ষ ) টাকা । ইউএস ডলার ১৬২টি প্রতিটি ১০০ ডলার করিয়া ১৬২×১০০= ১৬,২০০ ডলার।সিংগাপুরী ডলার ৬টি নোট ১০০ ডলার, ২৯টি নোট ৫০ ডলার, ৫টি ১০ ডলার, ৪টি ৫ ডলার, ৪টি ২ ডলার। সর্বমোট ২১২৪ সিংগাপুরী ডলার। এটিএম কার্ড ৪টি। এনআইডি কার্ড ১টি। মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স ১টি। সংসদ ভবন আইডি কার্ড ১টি। মানি ব্যাগ ১টি। স্বণের্র চেইন ১টি।
একরামুল করিম চৌধুরী ১৯৬২ সালের ৯ জুন (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইদ্রিছ মিয়া এবং মাতা রৌশন আরা বেগম।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১০ম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন।
একরামের স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তার সৎ ভাই ইব্রাহিম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। একরামুলের আরেক ভাই ইলিয়াস কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এবং তার ভাগিনা জহিরুল হক রায়হান ছিলেন কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র।