নোয়াখালীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দুর্গত এলাকার লোকজন। তবে বাড়ি ফিরে বসতঘরের অবস্থা দেখে ভেঙ্গে পড়ছেন অনেকেই। ঘরে পানি থাকায় অনেকে আবার ফিরে যাচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কেউ কেউ আবার পানির মধ্যেই কোনমতে নিজ ঘরে থাকার ব্যবস্থা করতে কাজে নেমে পড়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালীতে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৩শ মানুষ এখনো পানিবন্দি। ৯০১টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৮ জন। জেলায় ২২০টি (পুরনো)ঘর এবং ৫ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি ১২৪টি এবং বেসরকারি ১৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ ৪৫ লাখ টাকা,১ হাজার ৭১৮ মেট্রিকটন চাল,এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার,৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যা নিয়ে মঙ্গলবার অক্সফাম বাংলাদেশ প্রকাশিত জরুরি চাহিদা নিরূপণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোয়াখালী ও ফেনী জেলা। দুই জেলার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ৪৮ শতাংশ বাড়িঘর। এ ছাড়া দুই জেলার পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির সুবিধা শতভাগ অচল হয়েছে।