নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি >>> নোয়াখালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-নির্যাতনের মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে আরো ৬ জনকে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ মো.ফজলে এলাহী ভূঁইয়া মামলাটি জুড়িসিয়াল তদন্তের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে,গত বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমন বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। জেলা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন,চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো.আনোয়ার হোসেন,অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম,নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম,তৎকালীন জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন,চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই ) মো.জামাল হোসেন,বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মো.মিজানুর রহমান পাঠান,উপ-পরিদর্শক (এসআই ) জসিম উদ্দিন ও মোস্তাক আহমেদ এবং সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন। এছাড়া ৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে,গত ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের যোগসাজশে বাদীকে মিথ্যা মন্দির ভাঙার মামলায় রাঙ্গামাটি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। পরে আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদের নামে অকথ্য নির্যাতন করে এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে বাদীর আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। মামলার বাদী মঞ্জুরুল আজীম সুমন জেলা যুবদলের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।