সংবিধান থাকলে সরকার নেই, সরকার থাকলে সংবিধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার। তিনি বলেন, যখন দাবি উঠেছিল ফ্যাসিস্ট চুপ্পুকে তার পদ থেকে সরাতে হবে। তখন আমাদের বন্ধুরা আফসোস করে বলেছিলেন, সংবিধান লঙ্গন হবে। আমি জিজ্ঞাসা করি সংবিধান কি এখন আছে। সংবিধান থাকলে সরকার নেই, সরকার থাকলে সংবিধান নেই। তোমরা কিসের সংবিধানের কথা বলছ। এই সংবিধান দিয়ে ফ্যাস্টিট হাসিনা এই দেশের মানুষকে হত্যা করেছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের পিএল একাডেমী মাঠে জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা ভারতকে অনুরোধ করব তারা যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা না করে, তারা যেন চোখ তুলে না তাকায়। ভারতের চোখ খুলে ফেলব, তোমরা যদি আবার বাংলাদেশের ওপর আঘাত কর, বাংলাদেশের দিকে বাকা দৃষ্টিতে তাকালে সে চোখ তুলে ফেলা হবে।
ইসহাক অভিযোগ করে বলেন, ভারতের আশেপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তাদের সু-সম্পর্ক নেই। তাদের পাশের রাষ্ট্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গেও সু-সম্পর্ক নেই। পার্শ্ববর্তী ছোট দেশ মালদ্বীপ থেকেও তাদেরকে লাথি মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ থেকে লাথি খেয়ে চলে গেছে আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, কিছু দিন আগে চট করে হাসিনা নাকি বাংলাদেশে আসবে। আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ২ হাজার ছাত্র- জনতা হত্যা, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতের বিচার হাসিনাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখেই হবে।
শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী- হেমলেট বাহিনী ছাত্রলীগকে অনেক অপকর্মের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের অনেক অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ’সহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবী উঠেছিল ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তুলেছে, কাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কারা? কাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? শহীদ পরিবারের মা-বাবাদের সাথে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল মু.ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলেনে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামাতের আমীর বেলায়েত হোসেন ও উপজেলা জামাতের সেক্রেটারী মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা জামায়েতের সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন, উপজেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারী মহিন উদ্দিন, অফিস সম্পাদক গোলাম কবির ফয়সাল প্রমূখ।