নোয়াখালীর সেনবাগ-সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র,গুলি ও মাদকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ৫টি বিদেশি পিস্তল, ৮টি এলজি, ৪টি একনলা বন্দুক, ৯টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২ কেজি গাঁজা ও ২টি পিকআপ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জেলার চাটখিলের ছয়ানী টবগা গ্রামের বাদল হোসেন (২১), একই উপজেলার রুইতখালী গ্রামের মো. রবিন (২৮), সোনাইমুড়ী দেওটি গ্রামের মো. বাহার (৩০), বেগমগেঞ্জের হাজীপুর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন (২৬) ও কুমিল্লার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের মুরাদ হোসেন (২২)।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.আহসান হাবীব পলাশ। এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে জেলার সেনবাগের সেবারহাট বাজার ও সোনাইমুড়ী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানা ও সেনবাগ থানা পুলিশ সদস্যরা সেনবাগের সেবারহাট সায়েদ প্লাজার সামনে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশী করা শুরু করে।
চেকপোস্টে রাত ১টার দিকে ১২ কেজি গাঁজাসহ একটি পিকআপ আটক করা হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে পিকআপের ভিতরে পলিথিনের প্যাকেটে লুকানো অবস্থায় ১০টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে অস্ত্রবহনকারী আসামিদের থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় ৩-৪ দিন পূর্বে সোনাইমুড়ীর দেওটি গ্রামের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা আরো কয়েকটি অত্যাধুনিক পিস্তল সরবরাহ করেছে।
পুলিশ আরও জানায়, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ীর বাহারকে আটক করে পুলিশ। পরে তার ভাষ্যমতে প্রবাসী জাফর মিয়ার রান্নাঘরের প্লাস্টিকের বালতিতে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯টি ম্যাগাজিনসহ ৫টি বিদেশী পিস্তল, ২টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি নেছার আহমেদ, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।