
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈধভাবে এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। হামলায় হাইকোর্টের আইনজীবি সহ ১৫ জন আহত হয়।
সোমবার (৭এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আহত হাইকোর্টের আইনজীবি এডভোকেট আজাদ জানান,এ বিদ্যালয়ের অবৈধভাবে এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন,কমিটির অনিয়ম ও নিয়ম বর্হিভূত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি ও তার লোকজন পুলিশের উপস্থিতে মানববন্ধনে হামলা করে। হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায় এবং মানববন্ধনে থাকা লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে। সন্ত্রাসী হামলায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয় বলে জানা গেছে ।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোরশদ আলম বলেন, বিএনপির বিবাদমান দু’গ্রুপের দু’নেতা সেলিম ও আজাদকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বৈঠক করেছেন।
উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে স্কুল ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি আয়োজন নিষিদ্ধ করেন এবং অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নির্দেশনা দেন।ওসি মোরশেদ ১৫ জন আহতের কথা অস্বীকার করে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান ।