ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  1. Uncategorized
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. প্রবাসের খবর
  12. বিনোদন
  13. মিডিয়া
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

নোয়াখালীতে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু হয়েছে

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নভেম্বর ১৬, ২০২৩ ১:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি >>> কয়েক যুগ অপেক্ষার পর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) সেবা চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নামফলক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

নোয়াখালী জেলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। কিন্তু নোয়াখালী জেলায় অনেক বছর ধরে কোনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ সেবা ছিল না।

নোয়াখালীতে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু হয়েছে

করোনা মহামারির সময় অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর অর্থায়নে দুইটি আইসিউ সেবা চালু করা হয়।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিউ সেবা চালু হওয়ায় সুফল ভোগ করবেন নোয়াখালী সহ আশপাশের জেলার মানুষ।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে কোনো আইসিউ সেবা চালু ছিল না। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় আইসিইউ চালু হয়েছে। আমাদের হাসপাতাল ২৫০ শয্যার হলেও প্রতিদিন ভর্তি থাকে প্রায় ৭০০ রোগী। এখন আইসিউ যুক্ত হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল করোনার সময়ে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার মুল চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল।

এ হাসপাতালে ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকে। এখানে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগ ছিল। তবে আইসিইউ সেবা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হতো রোগীদের। সংকটাপন্ন রোগীর জন্য আমরা এখন আইসিউ সেবা দিতে পেরেছি। ঢাকায় আইসিউ সেবা ব্যয়বহুল আবার সময় মতো পাওয়া যায় না। এখন দরিদ্র মানুষও আইসিইউ সুবিধা নিতে পারবে।

নোয়াখালীতে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু হয়েছে

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীতে আইসিইউ সেবা ছিল না। লক্ষ্মীপুরের মানুষ সহ অনেকেই এখানে সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হতো। আইসিইউ সেবা না থাকায় অনেক সঙ্কাটাপন্ন রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যেতো। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে চেষ্টা সেটি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

জনবল সংকট নিরসনের কাজ করছেন উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জনবল না হলে এই আইসিইউ সেবা পেতে অসুবিধা হবে। আমাদের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো। এমপি মহোদয় জনবল বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। আমি মনে করে আইসিউ সেবা চালুর মাধ্যমে নোয়াখালীর মানুষের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়েছে।

এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম উদ্বোধনের অংশ হিসেবে নোয়াখালীতে ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় হয় ৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।

এসব প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, এলজিইডি ও সড়ক বিভাগ নোয়াখালী বাস্তবায়ন করেছে।

এ সময় নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটোয়ারী, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. দিদার উল আলম, জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মাছুম ইফতেখার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।