চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে জুলাই মাসে নিহতদের স্মরণে “রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ” সহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে সড়কে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টিতে ভিজে জেলা শহর মাইজদী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী নিহত সহপাঠীদের স্মরণ সহ বিভিন্ন শ্লোগানে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এছাড়াও আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এসময় সমন্বয়রা অভিযোগ করে বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জেলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ভাই-বোনদের মোবাইল চেক করছে। এবং তাদের কে আমাদের কর্মসূচিতে আসতে দিচ্ছে না।
এসময় তারা আরও বলেন, মোবাইল হচ্ছে একটি একটা মানুষের ব্যক্তিগত জিনিস। মোবাইলে ব্যক্তিগত গোপনীয় এবং প্রয়োজনীয় অনেক কিছু থাকতে পারে। তারা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরাতো সন্ত্রাসী নয়, ছাত্র-ছাত্রীরাতো দেশ বিরোধী কাজ করে না। তবে কেন মোবাইল চেক করে অন্যায়ভাবে অন্যের প্রাইভেসি নস্ট করা হচ্ছে? এ গুলো বন্ধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা দুপুর আড়াইটার পরে থেকেই শহরের সুপার মার্কেট এলাকার আশেপাশে জড়ো হতে থাকে। কর্মসূচি শুরুর আগেই জেলা শহরের প্রধান সড়কে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
তবে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে কোনো ধরনের বাঁধা দেয়নি। এসময় সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে যানবাহনগুলো বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।