ঢাকামঙ্গলবার , ৬ মে ২০২৫
  1. NGO
  2. Uncategorized
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. কৃষি ও কৃষক
  9. খেলাধুলা
  10. চাকুরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. দূর্ঘটনা
  14. দূর্নীতি
  15. ধর্ম

নোয়াখালীর পত্রিকা বিতরণকারী বাহারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া

জহিরুল হক জহির
মে ৬, ২০২৫ ২:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

নোয়াখালী জেলা শহরের সৎ,বিনয়ী ও সংবাদ প্রেমিদের প্রিয়ভাজন সংবাদপত্র বিতরণকারী মো. বাহার মিয়া (৪৬) বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

 

রোববার (৪ মে) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে রাত সাড়ে ১১টায় জানাজার নামাজ শেষে বাহারের মরদেহ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।

 

এর আগে শনিবার (৩ মে) রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে রোববার বিকাল ৩টার সময় তিনি মারা যান।

 

সংবাদপত্র বিতরণকারী মো. বাহার মিয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাহার মিয়ার জানাজার নামাজে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, জেলা শহরের পরিচিত ব্যক্তি সংবাদপত্র বিতরণকারী বাহার ছিলেন একজন সৎ ও বিনয়ী মানুষ।

 

তিনি ঝড়-বৃষ্টি কিংবা প্রখর রোদ, কিংবা প্রচন্ড শীতের মধ্যেও পত্রিকা নিয়ে শহরের প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসা-বাড়ি, সাংবাদিক, প্রেসক্লাব, রাজনীতিক কার্যালয় সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে নিয়মিত পত্রিকা পৌঁছে দিতেন।

দৈনিক সোনালী জমিন এর সম্পাদক শাহ এমরান সুজন জানান, সংবাদপত্র বিতরণকারী বাহার মিয়া অত্যন্ত নম্র-ভদ্র, ভালো মানুষ ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল তিনি হঠাৎ প্রচন্ড কাশি নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

 

সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরিক্ষায় তাঁর শরীরে ক্যান্সারের জীবানু ধরা পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে গেলে রোববার বিকালে তিনি সেখানে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক, পত্রিকার গ্রাহক সহ সর্ব মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

এদিকে তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তার শূন্যতায় সংবাদপত্র বিতরণ ব্যহত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, গত ০১ মে থেকে মাইজদী বাজার মূলধারা এন্টারপ্রাইজও বিক্রি করে দেওয়া হয় (মালিকানা পরিবর্তন)। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলা শহরের সাংবাদিক ও পাঠকরা।