ঢাকাশুক্রবার , ৭ জুন ২০২৪
  1. Uncategorized
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইতিহাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. প্রবাসের খবর
  12. বিনোদন
  13. মিডিয়া
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

মোটরসাইকেলের ক্রয় বিক্রয় নিয়ে ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
জুন ৭, ২০২৪ ১:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

লালমনিরহাটের আদিতমারীর একটি ডোবা থেকে ফাহিম ফরহাদ (১৬) নামে এক কিশোরের গলাকাটা বস্তায় ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মধু রায় (১৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।

 

ফাহিম ফরহাদ আরাজি দেওডোবা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে। ও একই এলাকার ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মধু রায় রুহানী নগর এলাকার সুবাষ রায়ের ছেলে।

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,  পুরাতন মোটরসাইকেল ক্রয় নিয়ে মধু রায় ও ফরহাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। এরই সুত্র ধরে তারা একে অপরের সাথে ঘোরাফেরা ও নেশা সেবন শুরু করে।

 

গত মঙ্গলবার বিকেলে ফাহিম ও মধু রায় একই সাথে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হয়। ঘোরাঘুরি শেষে রাতে মধু রায় কে বাড়িতে নামিয়ে দিতে গেলে মধু রায় এর বাড়ির পাশে নির্জন জায়গায় গিয়ে আবারও নেশা সেবন করে।

 

এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলের টাকা লেনদেন নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে তাকে কাধে উপর্যুপরি কোপ মারে।

 

পরে সেখানেই মৃত্যু হলে  লাশ বস্তায় ভরে ধান ক্ষেত দিয়ে টেনে নিয়ে পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

 

পরদিন তার খোঁজ না পেয়ে পরিবার থানায় জিডি করলে পুলিশ তদন্তের এক পর্যায়ে মধুকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ  মরদেহ ও মধুর বাড়ির ধানের ডোল থেলে  হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে।

 

পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার আসামীকে সঙ্গে নিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

 

তবে একপর্যায়ে  লাশ উদ্ধার করা হলে উত্তেজিত জনতা আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।

 

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের জিডি’র অনুসন্ধানে প্রথমে নিখোঁজের ব্যবহৃত  মোবাইল উদ্ধার করে আটক মধুর দেয়া তথ্যমতে ফরহাদের বস্তাবন্দি  মরদেহ তার বাড়ির পাশে নালা থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

ফরহাদকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গলায় দা দিয়ে  কুপিয়ে  হত্যা করে তার  মরদেহ  নালায় ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতার মধু চন্দ্র। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।