নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে অশালিন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। ঘটনার পর থেকে বিএনপি নেতা আবদুর রহমান পলাতক থাকলেও তার ছেলে নাজমুল হাসান হৃদয় (২৩), ভাগিনা ইসমাইল হোসেন রাকিব (২২) ও জুনায়েদ হোসেন (২৪) নামের তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে বলছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিএনপি নেতা আবদুর রহমানের অশালিন বক্তব্য ও তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাতারপাইয়া বাজারে নিজস্ব মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের ১মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও টি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসনের নজরে আসে।
শুক্রবার দিনব্যাপী তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে সেনবাগ থানা পুলিশ। এরই মধ্যে পালিয়ে যান আবদুর রহমান, এই নিউজ লেখা পর্যন্ত তিনি পলাতক রয়েছেন।
ভিডিও তে পাওয়া ওই বক্তব্যে আবদুর রহমান বলেছিলেন, ‘উনি একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, অন্য দেশের কোন প্রধানমন্ত্রী যদি কোথাও সফরে যায় ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরন করা হয়। আর আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন আমেরিকা যায় জুতার মালা দিয়ে তাকে বরণ করা হয়। আমি মনি করি এখন শেখ হাসিনা বিএনপিকে বিরোধী দল মনে করেন না, শেখ হাসিনা মনের করতেছেন বিরোধী দল মনে হয় আমেরিকা’।
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে মজা নিতেছেন, অথচ যার মা এক এগারো সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কারাবন্দি হয়ে আছেন। আর তারেক রহমান লন্ডনে যে অবস্থায় আছেন তা কারাবন্দি থেকে অনেক অনেকগুণ বেশি।
জানা গেছে, গত ২৫ মে রাতে সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক এবং ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনা উনি একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অন্যন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি কোথায় সফরে যায় ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করা হয়। আর আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন আমেরিকায় যায় জুতার মালা দিয়ে বরণ করা হয়।