অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, আপাতত বন্যার্ত মানুষকে বাঁচানোয় আমাদের প্রধান কাজ। তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া, ক্ষুধার অন্ন জোগানো। শিশু ও নারী সবার স্বাস্থের দায়িত্ব নেয়া। বন্যা দুর্গত এলাকায় এসে মনে করছি এটায় এখান আমাদের প্রধান কাজ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে নোয়াখালী সার্কিট হাউজে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের আরো বেশি উদ্যোগী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখানে জনসম্পৃক্ততা যেটা হয়েছে। তার সাথে সমন্বয় করবেন। এ সমন্বতা যেন কোনো ভাবেই বিচ্ছিন্ন না হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবী সহ সকল আঙ্গিকের স্বেচ্ছাসেবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপানাদের মধ্যে যদি মত দ্বৈততা হয় আপনারা আলোচনার টেবিলে বসবেন।
তিনি আরও বলেন, তরুণরা এই বন্যায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের রিসোর্সেরও অভাব নাই। অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান আছে তারাও কাজ করতে আগ্রহী। অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান আসছে দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর রিফাত আনোয়ার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) বিজয়া সেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিবৃন্দ।